দৈনিক প্রত্যয় ডেস্কঃ ভারতে আইপিএল খেলতে এসে বর্ণবিদ্বেষের শিকার হয়েছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিকেটার ড্যারন সামি। আইপিএলে হায়দরাবাদ ফ্র্যাঞ্চাইজির হয়ে খেলার সময় তাকে সতীর্থদের অনেকেই ‘কালু’ বলে ডাকতেন। সামির অভিযোগের পর শোরগোল শুরু হয়।
যদিও সামির এই অভিযোগ মেনে নিতে পারেননি হায়দরাবাদে তার সঙ্গে খেলা দুই ভারতীয় ক্রিকেটার পার্থিব প্যাটেল এবং ইরফান পাঠান। তারপরেও সামি জানান, তোমরা জানো যে কে বা কারা আমাকে ওই নামে ডাকত। এবার সামির সেই অভিযোগের প্রমাণ মিলল। ২০১৪ সালে এক ভারতীয় ক্রিকেটারের ইনস্টাগ্রাম পোস্টে ড্যারেন সামিকে ‘কালু’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যুর পর বর্ণবৈষম্য নিয়ে সরব অনেকেই। তারপরেই ইনস্টাগ্রাম ভিডিয়োতে চাঞ্চল্যকর এই অভিযোগ প্রকাশ্যে নিয়ে আসেন ড্যারেন সামি। এমনকী সামি বলেন, সময় হলেই আমি একে একে নাম গুলো বলব, কে কারা তাকে হায়দরাবাদে খেলার সময় ‘কালু’ বলে ডাকত।
তিনি যে একেবারেই ভুল বলেননি তার প্রমাণ মিলল ২০১৪ সালে ইশান্ত শর্মার একটি ইনস্টাগ্রাম পোস্টে। যে পোস্টে দেখা যাচ্ছে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের চার ক্রিকেটার ইশান্ত শর্মা, ভুবনেশ্বর কুমার, ড্যারেন সামি এবং ডেল স্টেইন রয়েছেন। আর সেই পোস্টের ক্যাপশনে ইশান্ত লিখেছেন , “আমি, ভুবি, কালু, গান সানরাইজার্স। ”
ভুবনেশ্বর কুমারকে ভুবি বলেই ডাকা হয়। ডেল স্টেইনকে স্টেইন গান নামেও অনেকে উল্লেখ করেন। ফলে কালু নামে যে ওই ছবিতে ড্যারেন সামিকেই উল্লেখ করা হয়েছে তা স্পষ্ট। সুতরাং প্রথম থেকে ড্যারেন সামি যে অভিযোগ করে আসছেন তা যে একদমই মিথ্যে নয় তার প্রমান পাওয়া গেছে এই ছবিতে।
সামিকে আইপিএলে হায়দরাবাদ ফ্র্যাঞ্চাইজির কেউ বা কারা বুঝিয়েছিলেন, ‘কালু’ শব্দের মানে শক্তিশালী ঘোড়া। তাই সেই সময় তিনি প্রতিবাদ করেননি। কিন্তু জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যুর ঘটনায় সারা বিশ্বে হইচই ফেলে দেওয়ায় একটি ইনস্ট্রাগ্রাম পোস্ট করেন ড্যারেন সামি।
সেখানে তিনি লেখেন, ”ও তা হলে ওই নামের মানে আসলে এটা। এতদিন জানতে পারিনি। এবার জানতে পেরে ভীষণ রাগ হচ্ছে। আমাকে ও থিসারা পেরেরাকে দিনের পর দিন কালু নামে ডাকা হত।”
ডিপিআর/ জাহিরুল মিলন